সোমবার । ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

মেজর সিনহার পাঁজরে পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ

গেজেট প্রতিবেদন

টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসই ছিলেন মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও পরিকল্পনাকারী। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিনহার বুকের বাম পাঁজরে জুতা পরা পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তিনি।

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যা মামলায় দেয়া রায়ে হাইকোর্টর পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৩৭৮ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রোববার (২৩ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে আরও জানা হয়েছে, টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) লিয়াকত আলী তার হাতে থাকা সরকারি পিস্তল দিয়ে পরপর ৪ টি গুলি ছুড়েছে মেজর সিনহার শরীরের উপরের দিকে।

এর আগে মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার দায়ে বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এবং বরখাস্তকৃত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি মো. সগির হোসেন রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে সাক্ষর শেষে তা পাঠিয়েছেন সেকশনে। একইসঙ্গে আরও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে এ রায়ে। গত ২ জুন হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যার দায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন